প্রসেনজিৎ বিশ্বাস,কলকাতা : করোনা সংক্রমণে আতঙ্কিত সারা দেশ তথা বিশ্ব।এখনও কোন প্রতিষেধক টিকা বাজারে আসেনি, তাই সামাজিক দূরত্বকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরাও। কিন্তু চিকিৎসকদের উপদেশ পালন করছে না অধিকাংশ মানুষ, তার জ্বলন্ত উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ব্যাংকের শাখার।যার ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ব্যাংক কর্মীদের।
গ্রাহকদের অধিকাংশের দাবী, কিছুদিন আগে প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম শনিবার ব্যাংক খোলা ছিল। এখন সাপ্তাহিক লক ডাউনে সব শনিবার ব্যাংক বন্ধ। ব্যাংকের কাজের সময়সীমা ছিল সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত।এখন তা হয়েছে দুপুর ২ টা পর্যন্ত। দীর্ঘ আড়াইমাস লোকডাউনের মধ্যেও ব্যাংক খোলা ছিল। কিন্তু এখন সাপ্তাহিক লোকডাউনের দিনে ব্যাংকের সমস্ত কাজ বন্ধ। তাই সময়ের অনেক আগে থেকেই ব্যাংকের দোরগোড়ায় এসে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।

তাদের যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মী একাংশের দাবি ,গ্রাহকদের কথা যুক্তিসঙ্গত। তাদের পরিষেবার সময়সীমা সাপ্তাহিক লোকডাউনের ফলে এখন অনেকটাই শিথিল হয়েছে। কিন্তু তাদের পরিসেবার সুবিধার্থে অনলাইন লেনদেনের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। যেটা গ্রাহকরা ঘরে বসেই করতে পারেন। খুব দরকার ছাড়া ব্যাংকে না বসে, ঘরে থেকে বিভিন্ন পধ্বতির মাধ্যমে অনেক কাজ তারা করতে পারবেন।
তাঁরা আরও দাবি করেছেন, বহু ব্যাংক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ফলে , সেসব ব্যাংকের শাখা অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যেটা ব্যাংক কর্মী এবং গ্রাহক উভয়ের জন্য আশঙ্কাজনক। যদি গ্রাহকদের ভিড় দিনে দিনে এভাবে বাড়তে থাকে, সেটা সত্যিই চিন্তার বিষয়।