মৌসুমী সাহা
ক্ষমতার অপব্যবহার’ এমনই মন্তব্য প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর। সর্ষের মধ্যে ভূতের মত কেউ কেউ আবার উল্টো সুর গাইলেন।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের গ্রেপ্তারিতে যেখানে সারা দেশ নড়েচড়ে বসেছে সেখানে দলে কোনো প্রভাব পড়বে না তা তো হতে পারে না। তবে তার খুব একটা বহিঃপ্রকাশ নেই এটা ঠিক। এমন একটা ভাব যেন ও কিছু নয়। রাহুল গান্ধী অবশ্য বললেন বিজেপি ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছে। এতবড় একজন নেতৃত্বকে এভাবে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন ছিল না। ৩০৫ কোটির বিদেশি লগ্নির অনুমোদন দেওয়া তাহলে কিছু নয় সামান্য ব্যাপার। দলের বক্তব্য অনুযায়ী ২০১৪ তে নরেন্দ্র মোদী মসনদে বসার পর বেশ কিছু ঘুষখোর অফিসারদের জেলের অন্দরে পাঠিয়েছিলেন এবং ঘোষণা করে ছিলেন এদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বোঝাপড়া টা সেরে নেবেন। দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর বিজেপি কি তাহলে সেই বোঝাপড়া টাই সেরে নিচ্ছে কংগ্রেসের সঙ্গে। রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কখনো জনগণের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন নি এমনটাই তুলনা করে ফেললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দলের মধ্যে কেউ কেউ আবার মোদী বিরোধী কথাগুলো মানতে পারলেন না। তাদের মতে যেমন কর্ম তেমন ফল তো হবেই। তবে কি তারা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য পা বাড়িয়েই আছে?
দেশের একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যার হাতে গোটা দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো তিনি জড়িয়ে পড়লেন আই এন এক্স মিডিয়া মামলায়। ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বয়ানে তা স্পষ্ট। স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমোদনে বিদেশী বিলগ্নিকরণ সম্ভব হয়েছে। ২০০৭ এ যে কবর তিনি নিজের জন্য খুঁড়েছিলেন ২০১৯ শে এসে তার সলিল সমাধি হল কি?
রাজনৈতিক আক্রোশ নাকি দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করা কি উদ্দেশ্য বিজেপির? সি বি আই সত্যি ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য জোর তদন্ত চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশের জনগণ ও অপেক্ষায় আসল সত্যের।