হেমাশ্রী বিশ্বাস, কলকাতা
যুদ্ধ শুরু হলে সেটার নিয়ন্ত্রণ যে কোনও দেশের হাতেই থাকবে না সেটা মনে করিয়ে দিয়ে ফের একবার আলোচনার ডাক দিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর মতে ‘গোটা বিশ্বের ইতিহাসে যত গুলি যুদ্ধ হয়েছে , তার কোনওটিই নিয়ন্ত্রণে ছিলনা। যারা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, তাঁরা কেউই জানতেন না সেই যুদ্ধ শেষ কোথায় হবে।
তাই আমি ভারতকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, দুই দেশের হাতে যে পরিমাণ মারণাস্ত্র আছে, তাতে এই নিয়ন্ত্রন হীন যুদ্ধ কী আমরা সামলাতে পারবো?’ যদি ভারত সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কোনও কথা বলতে চায়, তাহলে আমরা সব সময় রাজি।
শুভ বুদ্ধি উদয় হত্তয়া প্রয়োজন এবং আমাদের অবশ্যই আলোচনায় বসা উচিত।
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি পুলত্তয়ামা কান্ডের পর গত মঙ্গলবার ভারতীয় বায়ুসেনার বালাকোটে অভিযান চালায়, এবং ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০ বিমানের সামনে ধোপে টিকটে না পেরে তৎক্ষনাৎ চম্পট দেয় পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এফ ১৬। তারপর আজ ভারতীয় আকাশসীমা অতিক্রম করে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান। যদিও সেটা সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেই সাংবাদিক বৈঠকে বিবৃতিতে জানিয়েছেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার। তবে প্রত্যাঘাতের সময় একটি ভারতীয় মিগ ২১ বাইসন যুদ্ধবিমান ও ভেঙে পড়ে। অন্যদিকে সূত্র মারফত খবর পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে ও বিমানটি ভেঙে পড়তে দেখা গেছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয় ভারতীয় তরফ থেকে, তারপর জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরী বৈঠক করেন ইমরান খান ও উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানই। তারা বলেন পাকিস্তান ঠিক সময়ে ও ঠিক জায়গায় জবাব দেবে।
ইতিমধ্যে পাক মিডিয়া ও পাক সরকারের দাবী ভারতীয় ২টি যুদ্ধ বিমান ঢুকেছিল পাকিস্তানের আকাশ সীমায়। সেগুলি চোখে পড়ায় গুলি করে নামায় পাক বায়ুসেনা। বিমান থেকে ১পাইলট কে গ্রেফতার করে পাক বাহিনী। অন্য এক ভারতীয় পাইলটকে আহত অবস্থায় পাক সেনাবাহিনীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ও তাঁর চিকিৎসা চলছে বলেই দাবি করল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য ২ পাইলটের মধ্যে গ্রেফতার হত্তয়া পাইলটের নাম অভিন্দন বর্তামান। তাঁর ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন পাকিস্তানের চ্যানেলে দেখানো হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ও ইউটিউব চ্যানেল গুলিতে ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই হয়নি বা ভারতীয় প্রশাসন তরফে থেকেও এই নিয়ে কোন বিবৃতি জানা যায়নি।
তবে ভারতীয় পাইলট যাকে নিখোঁজ বলে জানানো হয়েছে সেই অভিন্দনের বাবা ও ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল। তিনি এখন অবসরপ্রাপ্ত। ২০০৪ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দেন অভিনন্দন। তিনি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান চালাতেন। পাকিস্তানের তরফ থেকে গ্রেফতারের দাবি জানালেও ভারতের তরফ থেকে এ খবরের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)