হেমাশ্রী বিশ্বাস, কলকাতা
গত কালই মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে সুপ্রিমকোর্ট রাফাল যুদ্ধবিমানের দাম জানতে চেয়েছে। এবং মনোহরলাল শর্মা রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কি ভুমিকা আছে জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে যে মামলা করেছিলেন , গতকাল এই সংক্রান্ত আরো একাধিক মামলার সঙ্গে সেটিও গ্রহণজোগ্য হয়েছে। আজ চন্দ্রবাবুর উপস্থিতিতে রাহুল বলেন,”রাফাল নিয়ে স্পষ্ট দুর্নীতি হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান তদন্ত করবে তার উপর আঘাত হানছে সরকার। ঠিক ভাবে তদন্ত করলে স্পষ্ট হবে, কে দুর্নীতি করছে। টাকা কে নিয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর শাসনামলে চলবে না কোনো প্রশ্ন জানিয়েছে বিজেপি সরকার। মোদীর শাসন শেষ হতে চললো কিন্তু তাকে খোলাখুলি এখনো প্রশ্ন করার সুযোগ কেউ পাননি। কয়েক সপ্তাহ যাবৎ পাচ্ছে বিজেপির সদস্যরা, তবে তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাফাল নিয়ে কনো প্রশ্ন করা যাবেনা। কিন্তু বিরোধীরা রাহুলের মতো ততটা সরব নন কেনো? চন্দ্রবাবুর উক্তিতে বলেছেন তিনিও সরব হয়েছেন। তিনি বলেন সকলে নিশ্চিতরূপে এ বিষয়ে সরব হবে বলে তিনি আশাবাদী। রাফাল নিয়ে নীরব থাকলেও মোদী রাহুলের অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছেন রোজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। গত কালই মোদী বলেছেন, রাহুল ফাকা রেকর্ডের মতো মিথ্যা প্রচার করছেন। গ্রামোফোনের পিন আটকে যাওয়ার মতো একই গান যেমন বার বার বাজে, রাহুলের অবস্থান তেমনই। কংগ্রেসের ‘কুকথা’ কে উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। নীরবতা শুধুমাত্র রাফাল নিয়েই! প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপি কর্মীরা মুখে কুলুপ এটেঁছেন শুধুমাত্র রাফাল নিয়েই।